মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক নারী ও তার দুই কন্যাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়ার বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই নারীর স্বামী দন্ত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান রুবেলকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৮ মে) সকালে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. রিয়াজ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রুবেলের স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), বড় মেয়ে বানিয়াজুরী সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছোঁয়া আক্তার (১৬) ও ছোট মেয়ে স্থানীয় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী কথা আক্তারের (১২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবেল ও লাভলী ভালোবেসে বিয়ে করেন। দীর্ঘদিনের সংসার তাদের। গত পনের বছর ধরে রুবেল আঙ্গারপাড়া শ্বশুর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। কিন্তু ঋণগ্রস্ত রুবেল মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আর এতে করে পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে। ঘটনার পর দন্ত চিকিৎসক রুবেল পাঁচুরিয়া এলাকায় আত্মহত্যার জন্য ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শুয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, ভোরের দিকে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া এলাকায় এক দন্ত চিকিৎসকের বাড়ি থেকে তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের কলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করি। এই ঘটনার সঙ্গে লাভলীর স্বামী জড়িত থাকতে পারে, এ জন্য তাকে আটক করা হয়েছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লাভলী আক্তারের ভাই মো. আলম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।